গতকাল সন্ধ্যায় অফিস থেকে বাসায় ফিরলাম মাগরিবের একটু আগে। মাগরিবের নামাজ পরে যখন একটু বিশ্রাম নিতে যাচ্ছিলাম তখন আমাদের এম,ডি ফোন দিল
আমি ফোন রিসিভ করলাম.
-আস্সালামুআলাইকুম স্যার,
-ওয়ালাইকুম সালাম, তুমি কোথায়?
- এইতো বাসায়।
- তোমাকে কি জুবায়ের বলছে যে ওরা কালকে কক্সবাজার যাবে?
- না, আমাকে তো বলছে যে বুধবারে/বৃহষ্পতিবার যাবে।
- তোমাদেরকে আজকেই কক্সবাজারে যেতে হবে।
- আমরা তো আগামিকাল রাতে কক্সবাজার যাওয়ার কথা..
- না, তোমরা আজকেই যাও।
- কালকে সকালে গেলে হয় না?
- না, তাহলে দেরী হয়ে যাবে। তুমি আধা ঘন্টার মধ্যে অফিসে আস।
- ওকে স্যার, আস্সালামুআলাইকুম।
কি আর করা.. ব্যাগ গুছিয়ে অফিসে রওয়ানা দিলাম। তারপর সাইয়েদাবাদ গিয়ে বাসের টিকেট কেটে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। সকাল সাড়ে ছটায় কক্সবাজারে পৌঁছলাম। হোটেলে উঠে ল্যাপটপটা বের করে ব্লগ লিখা শুরু করলাম। এই-তো জীবন। :)
5 comments:
তরঙ্গ ভাই, মাস শেষে যদি সারা মাসের এই খাটুনির কষ্ট ভোলার মত এ্যামাউন্ট হাতে আসে তাইলে এইটারে জীবন মানতে আপত্তি নাই :P :P
সমুদ্রের উত্তাল তরংগ এখন তাহলে তার ঠিকানায় পৌছেছে...।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। এখন বাংলা দেখতে পাচ্ছি।
আপনার ফটোগ্রাফী দেখছি। অসাধারন। বিশেষ করে শিশির ফোঁটার যে তিনটা ছবি তার মধ্যে একটা দূর্দান্ত লাগছে।
কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম ফিরলাম গতকাল রাতে। এখন চট্টগ্রাম নিজের বাসায় আছি।
বিবেক ভাই ভালোই বলছেন। তবে আপনার কমেন্টস্ এর একটা মজার ব্যাপার হলো প্রশ্নবোধক বাক্য ছাড়াই আপনি প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। good technique. ;). আমিও টেকনিক্যালি এড়িয়ে গেলাম। :P
অচেনা পথিক,
নিজের ঠিকানায় গিয়েও প্রথম ৩দিন সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়েছিলো। তরঙ্গ আর সমুদ্রের বিচ্ছিন্নতা সহ্য হচ্ছিল না। তবে চতুর্থ দিন আর অপেক্ষা করতে হয়নি। ফজরের নামাজ আদিয় করেই সাগরের উদ্দ্যেশে বের হয়ে গেলাম। তারপর কক্সবাজারের সাগারের তরঙ্গ আর বিনির্মানের তরঙ্গ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল। আমার সঙ্গে আরেকজন ছেলে থাকলেও আমি একাই সাগরে নামছিলাম। কারন ওর জ্বর জ্বর লাগছিলো। সাগরের বিশাল বিশাল তরঙ্গগুলো আমার মাথার উপর দিয়ে আসছিলো। দেখে মাঝে মাঝে খুব ভয়ও হচ্ছিলো। কারণ আমি আবার সাঁতার জানিনা। :) কিন্তু সাগরের আকর্ষন এড়াতে পারি না। আমার কাছে সাগর আর পানি প্রচন্ড ভালো লাগে। :)
যাযাবার আপু,
থ্যাংক্যু। আমি আসলে অত ভালো ছবি তুলতে পারি না। শুধু শুধুই বাড়তি সুনাম করছেন। আর আপনি যে ছবিটার কথা বলছেন, সেটা আসলে শিশিরের ফোটা নয়, বৃষ্টির ফোটা। :) বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর বেলকনির গ্রীল-এ জমে থাকা বৃষ্টির ফোঁটাগুলো আমার কাছে অসাধারণ লাগছিল। তাই ক্যামেরা নিয়ে স্মৃতিটা বন্দী করে ফেল্লাম। :D
জীবন বড়ই কঠিন, বিবেক ভাই এর কথাটাও যুক্তিসঙ্গত.... :D :D....
আর ছবিগুলোও দারুণ হয়েছে!!!
Post a Comment